সন্ধ্যা হলেই ঘরে পোকামাকড়ে ভরে যায়? সমাধান নিয়ে নিন এখিনি
আসি আসি করছে শীতকাল। এরই মধ্যে সন্ধ্যার পর পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেছে। প্রায়ই ঘরবাড়ি, দোকানপাটে বৈদ্যুতিক বাতির কাছে ভিড় করছে হাজারও পোকা। পোকার কারনে লাটে উঠছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। চাইলে খুব সহজেই এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পোকা-মাকড় থেকে মুক্ত থাকার আদি ও অকৃত্তিম উপায় হলো ঘর-বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। সাধারণত ঘর পরিষ্কার থাকলে মশা, মাছি ও অন্যান্য পোকামাকড়ের উপদ্রব অনেকটাই কমে যায়। এক্ষেত্রে ঘর বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি আলো বাতাসের অবাধ চলাচলের ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়।
নিমপাতার ডাল সুন্দর করে কেটে এনে ঘরের কোণায় ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। পোকা-মাকড়ের জ্বালাতন কমে যাবে। এছাড়া নিমপাতা শুকিয়ে গুড়ো করে ছোট্ট এক টুকরো কাপড়ে পুঁটলি বানিয়ে ঘরের আসবাবপত্রের আড়ালে লুকিয়ে রাখুন। পোকামাকড় অনেকটাই কমে যাবে। রান্নাঘরের জন্যও একই পরামর্শ।
উড়ে এসে ভিড় করা এসব পোকামাকড় কাপড়ের আলমারিতেও হামলা চালাতে পারে। আলমারিতে রাখা কাপড় চোপড়ের ক্ষেত্রে ছোট্ট পুঁটলিতে নিমপাতা কিংবা কালোজিরা নিয়ে বেঁধে কাপড়ের সাথে রেখে দিন। পোকা ধরবে না। নিমপাতা বা কালোজিরার বদলে ন্যাপথলিনের গোটাও ব্যবহার করতে পারেন। কাপড় থাকবে সুরক্ষায়।
বাড়ির নকশা করার সময় একটু বাড়তি নজর রাখলে পোকামাকড় এড়িয়ে থাকা যায়। ডাইনিং টেবিল এবং রান্নাঘরের চুলার ওপরে কোনোরকম লাইটের ব্যবস্থা না করাই ভালো। কারন পোকামাকড়ের দৃষ্টি লাইটের দিকেই বেশি থাকে।
নির্দিষ্ট ঘরের লাইটে পোকার উপদ্রব বেশি হলে কোনো পাত্রে বেশকিছু পানি নিয়ে অল্প একটু কেরোসিন মিশিয়ে ঘরের যে লাইটে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয় তার নিচে পেতে রেখে দিতে পারেন। প্রচুর পোকামাকড় মারা পড়বে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠেই ঘরবাড়ি ঝাড়ু দিন যাতে কোনো পোকামাকড় না থাকে। এরপর লিকুইড এন্টিসেপটিক দিয়ে ঘর মুছে নিন। সহজে পোকামাকড়ের আসবে না।

Post a Comment